নিহত চেয়ারম্যানের মেয়ে সাদিয়া ইসলাম বাদী হয়ে রবিবার রাতে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ২০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬, তারিখ ০৯/০৯/২০১৮।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এজাহার নামীয় দুজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন- মোজাফফর হোসেন ও লাল্টু।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় কৃষ্ণনগর বাজারে যুবলীগ অফিসে বসেছিলেন চেয়ারম্যান কেএম মোশারফ হোসেন। এ সময় পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত তিনটি মোটরসাইকেলে এসে বাজারে কয়েকটি ককটেল বোমা ফাঁটায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পথচারীরা দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করে। এছাড়া দোকানপাট বন্ধ হবার সুযোগে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যানকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এরপরও তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।
ওসি জানান, মামলায় ১নং আসামি করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল গাইনকে। তাকেসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া এই হত্যার নেপথ্য কারণ নির্ণয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে।